, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পদ্মা সেতু নির্মাণের পর শর্ত দিতে কেউ সাহস পায় না: প্রধানমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ০৫-০৭-২০২৩ ০৩:৪১:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৭-২০২৩ ০৩:৪১:৩৯ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু নির্মাণের পর শর্ত দিতে কেউ সাহস পায় না: প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এখন আর শর্ত দিতে কেউ সাহস পায় না।

বুধবার (৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের উপর দুর্নীতির বদনাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের অপমান করতে পারেনি। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে কানাডায় যে মামলা করা হয়েছিল, ফেডারেল কোর্টও ঘোষণা দিয়েছিল যে এখানে যতরকম অভিযোগ আনা হয়েছে সবই ভুয়া-মিথ্যা।

এরপর আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আজকে আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। এই একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আগে যারা মনে করতো যে, আমরা শুধু মানুষের কাছে হাত পেতে চলব। এখন আর সেটা মনে করে না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে ধার নেই। আমরা কারও থেকে হাত পেতে নেই না। আবার সুদসহ সেই অর্থ ফেরতও দিই। কিন্তু ভাবখানা এমন ছিল যেন আমরা ভিক্ষা নিচ্ছি। এই যে শর্ত দেওয়া। তবে পদ্মা সেতুর এই সিদ্ধান্তের পর এখন আর অত-বেশি শর্ত দিতে কেউ সাহস পায় না বা দেয় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা যখন ২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি, সেসময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা খুব পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছি। যার ফলে আমি মনে করি, আমরা আমাদের অর্জনগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারব। বাংলাদেশ যেন আর পিছিয়ে না যায়, সেটাই আমরা চাই। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, যখনই যেই দেশে আমাদের দেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করেছে, সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান যখন আমাদের বাহিনীর প্রশংসা করে তখন সত্যিই আমার গর্বে বুক ভরে যায়। এই যে আমরা সম্মান পাচ্ছি, সেটিকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।